সর্বশেষ আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

মাকে খুঁজছে মিরপুরে বেঁচে যাওয়া শিশু হোসাইন

ডেইলি সিলেট ডেস্ক ::

রাজধানীর মিরপুর বিদ্যুতায়িত হয়ে বেঁচে যাওয়া ৭ মাসের শিশু হোসাইন তার মাকে খুঁজে ফিরছে। ভাগ্যক্রমে হোসাইন ফিরে আসলেও বেঁচে নেই তার মা-বাবা ও বড় বোন। এতে বদলে গেছে শিশু হোসাইনের চেনা জগৎ। সে কাউকেই চিনতে পারে না।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের আগলপাশা গ্রামে হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। মা হারানো শিশু হোসাইনের গগণবিদারী চিৎকারে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। শিশুর কান্না শুনে কাঁদছে পাড়া প্রতিবেশীরা। স্বজনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও হোসাইনের কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন।

স্বজনরা জানান, মিরপুরে চিড়িয়াখানা রোডে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে একটি বাসায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাস করতেন মিজান। কখনও ফেরি করে লেবুর শরবত বিক্রি করতেন আবার কখনও বাসের হেলপারি করতেন তিনি। কিছুদিন আগে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মিজান গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফেরেন। দুপুরে ঝিলপাড় বস্তিতে শাশুড়ির বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে দাওয়াত খেতে যান তিনি। রাত পৌনে ১০টার দিকে বৃষ্টির সময় চিড়িয়াখানা রোডের বাসায় ফেরার উদ্দেশে বের হন। তখন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। সাত মাসের ছেলে হোসাইন ছিল মায়ের কোলে। আর সাত বছরের মেয়ে লিমা বাবার হাত ধরে পানির মধ্যে হাঁটছিল। তখনই তারা ফুটপাতের পানিতে বিদ্যুতায়িত হন।

হোসাইনের মামা সাদ্দাম হোসেন আরিফ দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ২৫ গজ দূরের আমির স্টোর নামে একটি হার্ডওয়্যার দোকানের কর্মচারী। তিনি বলেন, আমার ভাগনেই যে পানিতে ভাসছিল তা আমি প্রথমে বুঝিনি। দেখি পানিতে একটা বাচ্চা হাবুডুবু খাচ্ছে। কোলে তুলে দেখি আমারই ভাগনে। তখন তাকে দ্রুত একজনের কাছে দিই হাসপাতালে নেয়ার জন্য। ছোট্ট ভাগনেকে বাঁচাতে পারলেও দুলাভাই-বোন আর আরেক ভাগনিকে বাঁচাতে পারিনি।

বর্তমানে শিশু হোসাইন সেই বস্তিতে আমেনা বেগম নামে এক নারী তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আমেনা বেগম বলেন, আল্লাহ শিশুকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। হোসাইনকে এখন আমার কাছেই রেখেছি। পুলিশও বলেছে রাখতে। পরে তাকে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেব।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ও ডেসকোর হটলাইনে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের অভিযোগ, ডেসকোকে ফোন করে ঘটনা জানিয়ে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেয়ার অনুরোধ করলেও অন্তত ২০ মিনিট পর বন্ধ করা হয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছেছে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমীর আলী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে চোরাই লাইনে লিকেজ থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রতিনিয়ত ওই বস্তি এলাকায় অবৈধ লাইনের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। অনেক সময় তার কেটে দেয়া হয়।

মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার থানায় মামলা হয়েছে। অবহেলাজনিত কাজের কারণে মৃত্যু হয়েছে- এমন অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে। মৃত অনিকের বাবা বাবুল মিয়া এই মামলা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: